হিংসা দুর্বলের অধঃপতনের অভিকর্ষ।
হিংসার উৎপত্তি বাস্তবিক পরাজয় বোধ থেকে অথবা আসন্ন পরাজয়ের শঙ্কা বোধ থেকে। একজন যখন দেখে যে, সে চরমভাবে হেরে গেছে বা তার পরম বিজয় সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে, তখন তার মধ্যে হিংসার বিস্তার ঘটে, তার মন বিদ্বিষ্ট হয়ে ওঠে, সে ক্ষোভের জ্বালায় পুড়তে থাকে। আর তখন সে মরিয়া হয়ে প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়; বিদ্বেষপূর্ণ কথার দড়িতে শত্রুকে বধ করতে চায় ও অন্যদের মনে হিংসা সঞ্চালন করে নিজের দল ভারী করতে উদ্যত হয়।
অভিকর্ষের প্রভাবে বস্তু নীচের দিকে তাড়িত হয় ও তার গতি বাড়ে অভিকর্ষের অনুপাতে। তেমনই হিংসুকের কথায় বিদ্বেষের মাত্রা বাড়ে বিপন্নতা বোধের মাত্রা অনুসারে। তাই যে যত বেশী বিপন্ন মনে করে নিজেকে সে ততো জোরে চিৎকার। সে তোতাপাখির মত কেবলই আওরাতে থাকে ঘৃণার বচন।
হিংসা একটি দুষ্টচক্রের মত, একটি ভাইরাসের মত। হিংসা শত্রুর অন্তরে কেবলই বুনে চলে নিজের বীজ। হিংসা দিয়ে কেউ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না, শত্রুকে সাথে নিয়ে কেবলই ঘুরতে থাকে শত্রুর বৃত্তে এবং পরিণামে নিজেকে ধ্বংস করে। লাভের লাভ হয়তো কেবল এটুকুই হয় যে, নিজের লাশটা স্থান পায় শত্রুর লাশের উপর। হিংসা দিয়ে হিংসার চক্র থেকে বের হওয়া যায় না, কেবল নিজের দশাটা লোককে জানান দেয়া হয় মাত্র।
অস্ত্র হিসেবে হিংসা আমাদের খুবই প্রিয় এ কারণে যে, তা ম্যাজিকের মত কার্যকর। মানুষকে নিজের চারপাশে জড়ো করতে ও শত্রুর দুর্গের দিকে চালিত করতে এর চেয়ে বেশী কার্যকর হাতিয়ার আমাদের হাতে নেই। কেন নেই তাও সহজেই অনুমেয়। আমরা আমাদের অনুসারীদেরকে বলতে পারি না যে, “তোমরা আমার মত হও। তাহলে মানুষ হতে পারবে।” সে সাহসই যে আমাদের নেই। তাই আমরা কেবলই চিৎকার করতে থাকি ‘তোমার এই নিয়ে গেল, তোমার সেই নিয়ে গেল’ বলে এবং তারপর কানে ঢেলে দেই হিংসার বিষ।
কিন্তু হিংসার পথে এগুনো যে ইঁদুর তাড়াতে গিয়ে নিজেদের সন্তানদের হারানো, তা আমরা বুঝতে পারছি না; যদিও হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে আমরা ভালই চিনি বলে মনে করি।
[লেখাটা হিংসা নিয়ে, কিন্তু শিরোনামটা ‘অহিংসা’। অর্থাৎ আবেদনটা শিরে থাকল, কারণটা থাকল দেহে।]
হিংসার উৎপত্তি বাস্তবিক পরাজয় বোধ থেকে অথবা আসন্ন পরাজয়ের শঙ্কা বোধ থেকে। একজন যখন দেখে যে, সে চরমভাবে হেরে গেছে বা তার পরম বিজয় সংকটাপন্ন হয়ে উঠেছে, তখন তার মধ্যে হিংসার বিস্তার ঘটে, তার মন বিদ্বিষ্ট হয়ে ওঠে, সে ক্ষোভের জ্বালায় পুড়তে থাকে। আর তখন সে মরিয়া হয়ে প্রোপাগান্ডায় লিপ্ত হয়; বিদ্বেষপূর্ণ কথার দড়িতে শত্রুকে বধ করতে চায় ও অন্যদের মনে হিংসা সঞ্চালন করে নিজের দল ভারী করতে উদ্যত হয়।
অভিকর্ষের প্রভাবে বস্তু নীচের দিকে তাড়িত হয় ও তার গতি বাড়ে অভিকর্ষের অনুপাতে। তেমনই হিংসুকের কথায় বিদ্বেষের মাত্রা বাড়ে বিপন্নতা বোধের মাত্রা অনুসারে। তাই যে যত বেশী বিপন্ন মনে করে নিজেকে সে ততো জোরে চিৎকার। সে তোতাপাখির মত কেবলই আওরাতে থাকে ঘৃণার বচন।
হিংসা একটি দুষ্টচক্রের মত, একটি ভাইরাসের মত। হিংসা শত্রুর অন্তরে কেবলই বুনে চলে নিজের বীজ। হিংসা দিয়ে কেউ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছতে পারে না, শত্রুকে সাথে নিয়ে কেবলই ঘুরতে থাকে শত্রুর বৃত্তে এবং পরিণামে নিজেকে ধ্বংস করে। লাভের লাভ হয়তো কেবল এটুকুই হয় যে, নিজের লাশটা স্থান পায় শত্রুর লাশের উপর। হিংসা দিয়ে হিংসার চক্র থেকে বের হওয়া যায় না, কেবল নিজের দশাটা লোককে জানান দেয়া হয় মাত্র।
অস্ত্র হিসেবে হিংসা আমাদের খুবই প্রিয় এ কারণে যে, তা ম্যাজিকের মত কার্যকর। মানুষকে নিজের চারপাশে জড়ো করতে ও শত্রুর দুর্গের দিকে চালিত করতে এর চেয়ে বেশী কার্যকর হাতিয়ার আমাদের হাতে নেই। কেন নেই তাও সহজেই অনুমেয়। আমরা আমাদের অনুসারীদেরকে বলতে পারি না যে, “তোমরা আমার মত হও। তাহলে মানুষ হতে পারবে।” সে সাহসই যে আমাদের নেই। তাই আমরা কেবলই চিৎকার করতে থাকি ‘তোমার এই নিয়ে গেল, তোমার সেই নিয়ে গেল’ বলে এবং তারপর কানে ঢেলে দেই হিংসার বিষ।
কিন্তু হিংসার পথে এগুনো যে ইঁদুর তাড়াতে গিয়ে নিজেদের সন্তানদের হারানো, তা আমরা বুঝতে পারছি না; যদিও হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালাকে আমরা ভালই চিনি বলে মনে করি।
[লেখাটা হিংসা নিয়ে, কিন্তু শিরোনামটা ‘অহিংসা’। অর্থাৎ আবেদনটা শিরে থাকল, কারণটা থাকল দেহে।]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন